এমন একটা সময় ছিল যখন আমি জনসংযোগের ক্ষেত্রে কতগুলো নিয়মের উপর জোর দিতাম। কিন্তু সময় কেটে গেলে আমি বক্তব্য রাখার উপর জোর দিতে চেয়েছি । বক্তৃতাদানের ক্ষেত্রে আমি কন্ঠস্বর প্রথমে মার্জিত আর জোরালো এবং গ্রহনযোগ্য করার জন্য প্রচুর অনুশীলন করেছি ।

বেশ কিছু দিন করার পর বুঝলাম এটার কোন প্রয়োজন নেই। কারন আমি বুঝলাম জন্মদত্ত কন্ঠস্বরই সাধারনের পক্ষে যথেষ্ট । তবে শ্রোতাদের সামনে স্বাভাবিক থাকা তেমন সহজ কাজ নয় । সব নেতারা এই কথাটা জানে।

এমন একটা সময় আসবে যখন কেউ হয়তো আপনার কাঁধে হাত রেখে বলতে পারে "কিছু বলুন আপনি" ।  কি করবেন তখন? 

বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে একটা ছোট মেয়ে গিয়ে তাদের এলাকার গাড়ির সমস্যার কথা বলে এবং মন্ত্রী তা পরের দিন ব্যবস্থা করে দেন । খবরটা সংবাদ মাধ্যমে খুব আলোচিত হয়। এখানে বলতে পারার সাহসটাই আসল কথা । সবাই বলতে পারে না।

এইটা না হয়ে যদি ঐ এলাকা থেকে ৫০টা লিখিত স্বারক লিপি প্রদান করা হতো, তাতেও কাজটা অনেক দেরিতে হতো এবং সময় লাগতো । কিন্তু এখানে মেয়েটার সাহসটাই আসল ।

আসুন সবাই বলতে শিখি, সমাজের নানা সমস্যার কথা, আজ আপনি পারলে কাল অন্য জন পারবে । পারতে হবে সবাইকে.......