ইলিয়াস কামাল বাবু ** সন্দ্বীপ মেডিক্যাল সেন্টারে ডেলিভারী রোগী ভাগ্নী জান্নাতুল ফেরদৌস সালমা(২৪)কে নির্দিষ্ট তারিখের দু সপ্তাহ আগে নিয়ে গিয়েছিলাম গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. ফারজনা খাতুনের কাছে। রোগীর পূর্বেকার আল্ট্রা দেখে ইচ্ছে করলেই তিনি পেট টা কাটতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করলেন না,রোগী কে ভালো করে দেখলেন,বললেন-আরো একটা আলট্রা করতে হবে,করা হলো,ডা. রিপোর্ট দেখলেন,বললেন বাচ্চার পজিশন উল্টো। ** তা শুনে আত্মীয়-স্বজন প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও রোগী এবং তার নিকটজনদের অভয় দিয়ে বললেন- এখনও সময় আছে, ঈদের আগে আরেকবার নিয়ে আসুন, আবার আল্ট্রা করাবো,ঈদের দু ' দিন আগে আবার হাসপাতালে ভাগ্নী কে নিয়ে আসলাম,আল্ট্রা করা হলো,রিপোর্ট দেখে ডা. বললেন আলহামদুলিল্লাহ, বাচ্চা রাইট পজিশনে চলে এসেছে। ** আর কোনো চিন্তা নেই,স্বজনদের বললেন- ঈদ করুন,ঈদের দু ' তিন দিন পরে পেইন উঠলেই নিয়ে আসবেন,হলোও তাই কাল(৫ মে) রাত ১২ টায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো,আর ভোর (৬ মে) ৫ টায় ভোরের আলোয় মায়ের কোল আলোকিত করে দুনিয়ায় এলো ফুটফুটে সুন্দর এক নবজাতক পুত্র সন্তান, আলহামদুলিল্লাহ্। ** মহান আল্লহর কাছে হাজার,লাখো, কোটি শোকরিয়া। আমি এবং আমাদের পরিবার সকল সন্দ্বীপ মেডিক্যাল সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় মুগ্ধ। কৃতজ্ঞ চিত্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ,বিশেষ করে ব্যবস্থাপক শরীফ ভাই, ডাক্তার, নার্স সহ সংশ্লিষ্ট সকল কে ধন্যবাদ জানাই। ** আমার বিশ্বাস, সন্দ্বীপ মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ডেরিভারী রোগীরা তাদের সুচিকিৎসার ব্যাপারে আস্থা রাখতে পারবে,আর সন্দ্বীপ মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালও তাদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পারবে,এবং কাংখিত লক্ষে এগিয়ে যেতে সক্ষম তবে। সবশেষে আমার নবজাতক নাতি ও ভাগ্নীর সর্বাঙ্গীন মঙ্গলেন জন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।