রামপুরা থানা ও ২৩ নং ওযার্ড জাতীয় শ্রমিকলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষীকী ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ধানমন্ডীর ৩২ নং বাড়ীতে সেদিন যারা শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন তাদের স্মরণে ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন রামপুরা থানা ও ২৩ নং ওয়ার্ড জাতীয় শ্রমিকলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
গত ২২ আগষ্ট, রবিবার বাদ যোহর মৌলভীরটেক চার রাস্তার মোড় ২৩ নং ওয়ার্ড
জাতীয় শ্রমিকলীগ কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে উক্ত আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কে এম আযম খসরু।
রামপুরা থানা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিলুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ শিমুল খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাকে সংসদ সদস্য জাহানারা বেগম, জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদ ডাকুয়া, আওয়ামীলীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা লেয়াকত আলী, মোহাম্মদ হায়দার আলী খান, এম এ আকরাম মুকুল, কামরুজ্জামান বাদল, এডভোকেট মোহাম্মদ শাহ আলম, জাতীয় শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি আলমাছ হাওলাদার মিন্টু, শ্রমিকনেতা আজিজুল হাকিম রিপন, মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ড সভাপতি জাফর ইকবাল নান্টু।
অনুষ্ঠানের সার্বীক সহযোগিতায় ছিলেন- আব্দুল মান্নান, আব্দুস সালাম, জিয়াউদ্দিন জিয়া, মোহাম্মদ শাহিন, মোহাম্মদ শফিক, রাজু আহমেদ, কামরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন মামুন, রুহুল আমিন, সুজন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধু সহ সেদিনের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পাশাপাশি খুনিরা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ অন্তঃসত্ত্বা বেগম আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর দুই নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয় ১০ বছরের শিশু রাসেল, চার বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ১০ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের বেবি সেরনিয়াবাতকেও। বেড়াতে আসা অতিথি এবং কাজের মানুষেরাও ঘাতকের হাত থেকে সেদিন রেহাই পায়নি।'
সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, যে অপশক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর হিসেবে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে এবং যে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তাদের যৌথ ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে।বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যুক্তদের বিচার হয়েছে, কিন্তু খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ এ হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের বিচার করতে হবে যাতে শতবর্ষ পরের প্রজন্ম ঠিক ইতিহাস জানতে পারে।
# লুৎফুর রহমান ফটিক