সন্দ্বীপ মগধরা ইউনিয়নের কথিত সন্ত্রাসী সুমন বাহিনীর হামলায় এক মুক্তিযোদ্ধা সহ ৯ জন আহত
সন্দ্বীপ মগধরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডস্থ মহব্বত আলী হাজির বাড়িতে একই বাড়ির ছেলে মিরাজ এর আহব্বানে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সুমন প্রকাশ চোরা সুমনের নেতৃত্বে একদল যুবক এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা সহ ৯ জনকে মারাত্বক আহত করার ঘটনা ঘটিয়েছে । আহতরা হলেন সাজু, ফেরদৌস বাবুল, রিনা আক্তার, সোহাগ, সিহাব, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আওয়াল, আফসানা বেগম, লতিফা বেগম, তফুরা বেগম প্রমুখ। আহতদের স্বর্নদ্বীপ ফাউন্ডেশন ও ডাঃ ফজলুল করিম প্রাথমিক চিকিৎসা
দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাছুয়া মেডিকেলে রেফার করা হয়।
উক্ত হামলার ঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় মিরাজ পিতা মোস্তফা,হানিফ পিতা মোস্তফা, সুমন চোরা পিতা ইলিয়াস মেম্বার, শামীম পিতা ইলিয়াস, রাসেল পিতা রুহুল আমিন, মামুন পিতা কামাল উদ্দিন, রাসেল পিতা আবুতাহের সহ ৭ জনকে মুল আসামী ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৫/২৮/৪/২০২১। ধারা ১৪৩, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৭, ৩০৭, ৩৫৪, ১২৭, ৫০৬।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর উনুমং মারমা বলেন মামলা চলমান এবং আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত ২৬ এপ্রিল সকাল ১০ ঘটিকায় গাজী ফেরদৌস বাবুলের সাথে বাড়ি ওয়ালা চাচা ভাতিজা মিরাজ পিতা মোস্তফার সাথে দীর্ঘদিনের জায়গা জমি সংক্রান্ত দ্বন্দের জের ধরে পার্শ্ববর্তী ২ নং ওয়ার্ড থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী ডেকে এনে মিরাজ এ হামলা ঘটিয়েছে বলে আহত ব্যক্তিবর্গ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। প্রত্যক্ষ দর্শী জয়নাল আবেদিন ত্রান বিষয়ক সম্পাদক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও মোঃ জহির তিন নং ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক এবং মোঃ জিসান ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসানের দেওয়া ভাষ্যমতে ২ পক্ষের জায়গা জমি সংক্রান্ত ঝগড়াঝাটির আপোষ মিমাংসা করার জন্য আলোচনা চলাকালীন সময় হঠাৎ করে সুমন প্রকাশ চোরা সুমন পিতাঃ ইলিয়াস মেম্বার পার্শবর্তী ইদ্রিস মুন্সীর তেমাথা বা ২ নং ওয়ার্ডে হতে রাসেল, তাহের, শামীম, মাসুদ, রবিন,রাকিব, জিহাদ সহ মোট ২৫/৩০ জনের দল নিয়ে হাতে লাঠি, স-মিলে চিড়ানো কাঠ ,রড,কিরিছ, বেলছা, খন্তা সহ গাজী ফেরদৌস বাবুলের পরিবারের লোকজনকে তারা এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে এরপর ঘরে ও দোকানে ঢুকে নগদ ৮৫ হাজার টাকার স্বর্নালংকার, মোবাইল সেট ও মুল্যবান জিনিস সহ প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তারা আরো বলেন সুমন প্রকাশ চোরা সুমন মুলত একজন সন্ত্রাসী সে সব সময় যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং উপর মহলে তার যোগাযোগ আছে এমন ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও দালালী করে প্রতিনিয়ত।এটাই এখন তার পেশা এবং নেশা গত ছয় মাস পুর্বে সে ইদ্রিস মুন্সী বাজারের ব্যবসায়ী জসিম সওদাগরের ২ ছেলেকে দিন দুপুরে সবার সামনে কিরিছ দিয়ে আঘাত করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো। পরে তা মিমাংসা হলেও তার অপকর্মের বিরতি নেই বরং বেড়েই চলেছে দিন দিন।সে যুবলীগের পরিচয় বহন করে কিভাবে একজন বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে লাথি মেরে ও পিটিয়ে আঘাত করতে পারে। এর কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ট। আমরা এর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই। সে আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজস্ত কায়েম করে এলাকাকে সব সময় আতংকিত করে রাখে।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন আমি চট্টগ্রাম অবস্থানের কারনে ঘটনাটি ভালো ভাবে অবগত নয় তবে যা শুনেছি তা অনাকাংখিত। কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার সংগঠন নেবেনা। কারন আমি সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সব সময় কঠোর অবস্থান নিয়েছি। কেউ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করলে তার যথোপযুক্ত সাঁজা হউক সেটি আমিও চাই এবং সন্দ্বীপ থানা প্রশাসনকেও আমি একই কথা বলেছি। কারো কারনে আমার সংগঠনকে আমি বিতর্কিত করবোনা।
উক্ত হামলার মুল নেতৃত্ব দানকারী সুমনের 01878-210495 নাম্বারে ফোন করে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি আমার আত্মীয় মিরাজের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের মিমাংসা করতে গিয়েছিলাম ২/৩ জন বন্ধু সহ। হঠাৎ কথাকাটাকাটির বিষয়টি হাতাহাতিতে রুপান্তর হলে আমার হাতে থাকা লাঠির বাড়ি লেগে যায় সাজুর মাথায়। এটা হঠাৎ করে ঘটে গেছে। আমি দলবল ও অস্ত্র নিয়ে গিয়েছি সেটা মিথ্যা ও বানোয়াট। এবং আমি তাকে স্বর্নদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিজে নিয়ে গিয়েছি।
# বাদল রায় স্বাধীন